শেয়ার মার্কেট এ কাজ করতে গেলে কি কি থাকা দরকার?
শেয়ার মার্কেট এ কাজ করতে গেলে কি কি থাকা দরকার?
Table of Contents
আজকের বিষয় হল শেয়ার মার্কেট এ কাজ করতে গেলে কি কি থাকা দরকার? কিংবা কি কি জিনিসের প্রয়োজন হয়।
শেয়ার মার্কেট এক ধরণের স্মার্ট ব্যবসা। ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রেডিং হিসাবে আপনি শেয়ার মার্কেটে কাজ করতে পারেন।
ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট (Demat & Trading Account)
প্রথম আপনার একটা ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার।
আপনি যা কিছু শেয়ার কেনাবেচা করছেন তা সমস্ত ট্রেডিং একাউন্টের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
যখন আপনি কোন শেয়ার একদিনের বেশি কিংবা দীর্ঘদিনের জন্য রাখতে চাইছেন তখন ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয়।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দি, মনে করেন আপনি রিলায়েন্স কোম্পানির শেয়ার কিনতে চাইছেন।
তার মানে এই নয় যে আপনি Reliance কোম্পানি কে ফোন করে শেয়ার টি কিনবেন।
শেয়ার কিনতে হলে আপনাকে নিদৃষ্ট ব্রোকার এর অন্তর্ভুক্ত ডিম্যাট এবং ট্রেডিং একাউন্ট খুলতে হবে।
পরে আমি আপনাদের বলে দেবো কোথা থেকে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুললে আপনার টাকা সুরক্ষিত থাকবে।
ভুলভাল জায়গা থেকে এইধরনের কোনো অ্যাকাউন্ট আপনার খুলবেন না।
বাজারে অনেক ফালতু কম্পানি চলে এসেছে।
Join Our WhatsApp Group & Get Free
Intraday Calls
********************************************************************************************************************
Join Our Telegram Group & Get Free
Intraday Calls
মোবাইল, PC কিংবা ল্যাপটপে (Mobile, PC, Laptop)
দ্বিতীয় হল আপনার মোবাইল কিংবা PC কিংবা ল্যাপটপে নেট কানেকশন থাকাটা খুবই জরুরী।
যাদের ল্যাপটপ কিংবা pc রয়েছে তাদের কাজ শেখা টা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ (Internet Connection)
সম্পূর্ণ অনলাইন স্টক বাজারের লেনদেন। সুতরাং ইন্টারনেট সংযোগ অবশ্যই প্রয়োজন।
বিনিয়োগ(Investment)
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে প্রাথমিক কত টাকা লাগিয়ে আমরা এই ব্যবসা শুরু করতে পারব।
সত্যি বলতে নির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। বাজারে ছোট থেকে ছোট শেয়ার পেয়ে যাবেন।
100 টাকা লাগালে আপনি 1000 qty শেয়ার কিনতে পারেন।
আবার বাজারে বড় থেকে বড় শেয়ার আছে এক একটি শেয়ারের দাম 70000-80000 টাকা।
এক কথায় আপনি যদি ঠিকমতো প্র্যাকটিস করতে চান এবং মোটামুটি হাত খরচা বের করতে চান।
সে ক্ষেত্রে 10 থেকে 15 হাজার লাগালে আপনার কাজ হয়ে যাবে।
তারপর কাজ শেখা হয়ে গেলে যত টাকা ইনভেস্টমেন্ট করবেন প্রফিট ও সেই পরিমাণ পাবেন।
টেকনিক্যাল এনালাইসিস(Technical Analysis)
তৃতীয় যেটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর কাজ গুলি শেখা।
আজ রাত্রে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করব, এই এনালাইসিস ছাড়া আপনি এই বাজারে কাজ করতে পারবেন না।
আপনার যদি শেয়ার বাজার সম্পর্কে খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকে। এবং আপনি যদি শেয়ার বাজারের কাজ শিখতে চান। তারপরে আপনি আমাদের-শেয়ার মার্কেট টেকনিক্যাল কোর্সে ভর্তি হতে পারেন।
আপনি স্টক মার্কেটের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ মাত্র 799 / – রিতে শিখতে পারেন।
শেয়ার বাজার থেকে আপনি প্রতি মাসে ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপ নং – 8392091411
যোগদানের জন্য এখানে ক্লিক করুন
অন্যান্য আয়ের উত্স
আপনাদের বলে রাখি এখন এবং ভবিষ্যতেও শেয়ার মার্কেট কে আপনার প্রধান ইনকাম সোর্স হিসেবে নেবেন না।
আপনি যেটা নিয়ে এখন কাজ করছেন বা ব্যবসা করছেন।ওটা আপনার প্রধান অর্থ উপার্জনের রাস্তা হিসাবে ধরে রাখুন।
শেয়ার মার্কেট আপনার জমানো অর্থকে বাড়াতে সাহায্য করে।
মনে করুন আপনি কোন জব করছেন কিংবা ব্যবসা করছেন। মাসের শেষে আপনার 5000 আপনার সেভিংস হয়েছে।
ওই টাকাটার কিছু অংশ শেয়ার মার্কেটে লাগাতে পারেন।
হ্যাঁ অবশ্য যখন আপনি পুরোপুরি পারদর্শী হয়ে যাবেন তখন আপনি শেয়ার মার্কেট কে প্রধান বিজনেস বানিয়ে নিতে পারেন।
শেয়ার মার্কেটে শেয়ারের দাম প্রতি সেকেন্ডে ওঠানামা করতে থাকে। হয়তো আপনি কোন শেয়ার কিনেছেন দেখা গেল শেয়ার দাম টি পড়ে গেল।
তার মানে এই নয় যে ভবিষ্যতে শেয়ারের দাম আর বাড়বে না।
ধৈর্য:-
এই বাজারে কাজ করতে হলে আপনাকে অত্যন্ত ধৈর্য রাখতে হবে। ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে।
অনেক মানুষ শেয়ার বাজারে কাজ করতে আসে। দু চারদিন কাজ করে লোকসান হয়ে গেলে, সব গুটিয়ে বাড়ি চলে যায়।
এইভাবে করলে চলবে না।
এই বাজারে কাজ শিখতে গিয়ে প্রথম বছরই আমি 15000 টাকা লোকসান করেছিলাম। কারণ কাজ শেখানোর মতো কেউ ছিলনা।
ভুলভাল কেনাবেচা করেছি, তারপর আমি নানান জায়গা থেকে কাজ শিখেছি এবং এখনও শিখছি।
শেয়ার মার্কেটে শেখার শেষ নেই।
প্রতিদিন আপনি এখান থেকে কিছু না কিছু নতুন শিখতে পারবেন। অতএব ধৈর্য রাখাটা খুবই জরুরি।
শেয়ার মার্কেটের সময়সূচি
শেয়ার মার্কেটের একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা রয়েছে।
সোমবার থেকে শুক্রবার কাজ হয়, সকাল 9: 15 am বেজে বাজার শুরু হয়।
তিনটে বেজে ত্রিশ মিনিটে বাজার বন্ধ হয়। শনিবার রোববার বাজার বন্ধ থাকে।
অর্থাৎ আপনাকে এই বাজারে কাজ করতে হলে সকাল ন’টা থেকে তিনটে পর্যন্ত সময় বের করতে হবে।
অবশ্য প্রতিদিন কাজ করতে হবে সেরকম কোনো মানে নেই।
আপনার যেদিন ভালো লাগবে কাজ করবেন। যদি অন্য কাজ থাকবে সেদিন কাজটিকে বন্ধ রাখতে পারেন।
শেষ লাইন
যাইহোক এই নিদৃষ্ট কয়েকটি বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম। যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
কার সাথে বলবো আপনার বন্ধুরা কিংবা আত্মীয়-স্বজন কেউ যদি শেয়ার মার্কেটে আগ্রহী হন তাদেরকে এই গ্রুপে যুক্ত করাতে পারেন।
আমি আশা করি আপনি আমার নিবন্ধটি পছন্দ করবেন “শেয়ার মার্কেট এ কাজ করতে গেলে কি কি থাকা দরকার?” আপনার জ্ঞান অনেক বেড়েছে।
আমি যদি এই নিবন্ধটিতে ভুল হয়ে থাকে বা আপনার কোনও প্রশ্ন থাকে তবে মন্তব্য বাক্সে বিনা দ্বিধায় মন্তব্য করুন এবং আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
Join Our WhatsApp Group & Get Free
********************************************************************************************************************
Join Our Telegram Group & Get Free
- শেয়ারের দাম ওঠানামা করে কেন ? ( Why The Share Price Fluctuates?)
- কিভাবে Free Intraday Tips Or Call পাবেন? ইনকাম করার সুবর্ণ সুযোগ!!
- জানুন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রকারভেদ (Type of Trading in Bengali)
- ভারতীয় স্টক বাজারের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি কী কী
- Best 5 ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট (Demat & Trading Account)